ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ : সব ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

saiডেস্ক রিপোর্ট ::
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে প্রস্তুতি নিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন সোমবার সকালে এ নির্দেশ জারি করেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি ও কক্সবাজারের ৮টি উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ মেডিকেল টিম গঠনসহ সর্বাত্মক আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ছুটি বাতিলের খবরের সত্যতা স্বীকার করে সকালে আরটিভি অনলাইনকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের কাছে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারিভাবে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ঝড়টির গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার বা তারও বেশি থাকতে পারে। এছাড়া এর প্রভাবে ১৫০ মিলি মিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে, উপকূল অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

পাঠকের মতামত: